সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রাহক যাত্রাপথ: গোপন কৌশল যা আপনার বিক্রি বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ!

webmaster

**

"A professional businesswoman in a modest business suit, standing confidently in a modern office, fully clothed, appropriate attire, safe for work, perfect anatomy, natural proportions, professional photography, high quality"

**

বর্তমান ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটা সময় ছিল যখন ব্যবসা বাড়ানোর জন্য শুধু মাত্র পোস্টার আর ব্যানারের ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। আপনার কাস্টমার জার্নি কেমন, সেটা বুঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হয়। ভাবুন তো, একজন সম্ভাব্য ক্রেতা প্রথম আপনার পেজটা দেখলো, তারপর আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানলো, এবং ধীরে ধীরে সেটা কেনার সিদ্ধান্ত নিলো – এই পুরো পথটাকেই আমরা কাস্টমার জার্নি বলছি। এই জার্নিটাকে মাথায় রেখে যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্ল্যান করেন, তাহলে আপনার ব্যবসার উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না।আসুন, কাস্টমার জার্নি ম্যাপ ব্যবহার করে কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হয়, তা নিখুঁতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এ কাস্টমার জার্নির গুরুত্ব

আপন - 이미지 1
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এখনকার দিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগেকার দিনে ব্যবসার প্রচারের জন্য শুধু পোস্টার আর ব্যানারের ওপর ভরসা করতে হতো। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। এখন কাস্টমার কিভাবে আপনার পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে জানতে পারছে, সেটা বোঝা খুব জরুরি। ধরুন, একজন নতুন ক্রেতা প্রথমে আপনার পেজটা দেখল, তারপর আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানল, এবং তারপর সেটা কেনার সিদ্ধান্ত নিল – এই পুরো বিষয়টাকেই কাস্টমার জার্নি বলা হয়। এই জার্নিটা মাথায় রেখে যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্ল্যান করেন, তাহলে আপনার ব্যবসার উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না। কাস্টমার জার্নি ম্যাপ ব্যবহার করে কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হয়, সেই বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:

কাস্টমার জার্নি কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

কাস্টমার জার্নি হলো একজন গ্রাহকের অভিজ্ঞতা। একজন গ্রাহক কোনো পণ্য কেনার আগে থেকে শুরু করে কেনার পরে পর্যন্ত যে অভিজ্ঞতা লাভ করে, সেটাই কাস্টমার জার্নির অংশ। এই জার্নিকে ভালোভাবে বুঝলে, গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসটি দেওয়া সম্ভব হয়। এতে গ্রাহকের সন্তুষ্টি বাড়ে, যা ব্যবসার জন্য খুবই জরুরি। আমি যখন প্রথম একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করি, তখন কাস্টমার জার্নির গুরুত্ব বুঝিনি। ফলে, অনেক গ্রাহক আমার পেজ থেকে ঘুরে যেত। পরে যখন কাস্টমার জার্নি নিয়ে কাজ শুরু করলাম, তখন দেখলাম যে গ্রাহকরা আসলে কী চাইছে এবং কোথায় তাদের সমস্যা হচ্ছে।

কাস্টমার জার্নি ম্যাপ তৈরি করার নিয়ম

কাস্টমার জার্নি ম্যাপ তৈরি করতে হলে প্রথমে আপনার গ্রাহকদের সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। তাদের পছন্দ, অপছন্দ, চাহিদা এবং সমস্যাগুলো কী কী, তা জানতে হবে। এরপর, গ্রাহকরা আপনার পেজে কিভাবে আসছে, কী দেখছে, এবং কী করছে, তা নোট করতে হবে। এই সব তথ্য জোগাড় করে একটি ম্যাপ তৈরি করতে হবে, যেখানে গ্রাহকের প্রতিটি পদক্ষেপ দেখানো হবে। কাস্টমার জার্নি ম্যাপ তৈরি করার সময়, গ্রাহকদের অনুভূতি এবং মতামতগুলোও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

  • গ্রাহকদের ডেটা সংগ্রহ করুন।
  • তাদের উদ্দেশ্যগুলি চিহ্নিত করুন।
  • তাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করুন।

সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং তাদের ব্যবহার

সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, এবং লিঙ্কডইন। প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে এবং এদের ব্যবহারকারীরাও আলাদা। তাই, আপনার ব্যবসার জন্য কোন প্ল্যাটফর্মটি সবচেয়ে উপযুক্ত, সেটি নির্বাচন করা খুব জরুরি।

ফেসবুক: কিভাবে আপনার ব্যবসার পেজ তৈরি করবেন এবং পরিচালনা করবেন

ফেসবুক হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি একটি ব্যবসার পেজ তৈরি করে আপনার পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে জানাতে পারেন। নিয়মিত পোস্ট, ছবি, এবং ভিডিওর মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। ফেসবুক পেজ তৈরি করার সময়, আপনার ব্যবসার নাম, লোগো, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর, আপনাকে নিয়মিত আকর্ষণীয় কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে, যা আপনার গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। আমি আমার ফেসবুক পেজে প্রায়ই লাইভ ভিডিও করি, যেখানে আমি আমার পণ্যগুলো দেখাই এবং গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দেই।

ইনস্টাগ্রাম: ছবি এবং ভিডিওর মাধ্যমে কিভাবে আপনার ব্র্যান্ডকে তুলে ধরবেন

ইনস্টাগ্রাম হলো ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি আপনার পণ্যের সুন্দর ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করে আপনার ব্র্যান্ডকে তুলে ধরতে পারেন। ইনস্টাগ্রামে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা খুব জরুরি, কারণ এর মাধ্যমে আপনার পোস্টগুলো আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়। আমি যখন প্রথম ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার শুরু করি, তখন হ্যাশট্যাগের গুরুত্ব বুঝিনি। পরে যখন দেখলাম যে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার ফলে আমার পোস্টগুলো অনেক বেশি মানুষ দেখছে, তখন থেকে আমি নিয়মিত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করি।

টুইটার: কিভাবে ছোট বার্তা দিয়ে আপনার গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন

টুইটার হলো ছোট বার্তা বা টুইট করার একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি ১৪০ অক্ষরের মধ্যে আপনার বার্তা লিখে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। টুইটারে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং আপনার মতামত জানাতে পারেন। টুইটারে নিয়মিত অ্যাক্টিভ থাকলে আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়ে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক কন্টেন্ট তৈরি

কন্টেন্ট মার্কেটিং হলো আপনার গ্রাহকদের জন্য মূল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট তৈরি করা। এই কন্টেন্ট হতে পারে ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক, অথবা অন্য কিছু। ভালো কন্টেন্ট আপনার গ্রাহকদের আকর্ষণ করে এবং আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি তাদের বিশ্বাস বাড়ায়।

ব্লগ পোস্ট: কিভাবে তথ্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় ব্লগ পোস্ট লিখবেন

ব্লগ পোস্ট হলো আপনার ওয়েবসাইটে লেখা আর্টিকেল। এখানে আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেন। একটি ভালো ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম নির্বাচন করতে হবে। এরপর, আপনাকে আপনার পাঠকদের জন্য তথ্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট লিখতে হবে। ব্লগ পোস্টে ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করলে, সেটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। আমি আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ব্লগ পোস্ট করি, যেখানে আমি আমার গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেই।

ভিডিও মার্কেটিং: কিভাবে ভিডিওর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রচার করবেন

ভিডিও মার্কেটিং হলো ভিডিওর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রচার করা। ভিডিও হলো সবচেয়ে শক্তিশালী কন্টেন্ট ফরম্যাট। একটি ভালো ভিডিও আপনার গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে এবং আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াতে পারে। আপনি ইউটিউব, ফেসবুক, এবং ইনস্টাগ্রামে ভিডিও আপলোড করে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারেন। ভিডিও তৈরি করার সময়, আপনার ভিডিওর মান এবং শব্দ পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে।

ইনফোগ্রাফিক: কিভাবে ডেটা এবং তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন

ইনফোগ্রাফিক হলো ডেটা এবং তথ্যকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের একটি মাধ্যম। ইনফোগ্রাফিকের মাধ্যমে আপনি জটিল তথ্যকে সহজে বোধগম্য করতে পারেন। একটি ভালো ইনফোগ্রাফিক তৈরি করার জন্য, আপনাকে প্রথমে ডেটা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, সেই ডেটাকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করে উপস্থাপন করতে হবে। ইনফোগ্রাফিকে ছবি, চার্ট, এবং গ্রাফ ব্যবহার করলে, সেটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের উদ্দেশ্য উপযুক্ত কন্টেন্ট
ফেসবুক ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি, গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ পোস্ট, ছবি, ভিডিও, লাইভ ভিডিও
ইনস্টাগ্রাম ব্র্যান্ডের ভিজ্যুয়াল পরিচিতি তৈরি, তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ সুন্দর ছবি, ছোট ভিডিও, স্টোরিজ
টুইটার তাৎক্ষণিক খবর এবং আপডেট দেওয়া, গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছোট বার্তা (টুইট), আলোচনা, মতামত
লিঙ্কডইন পেশাদার নেটওয়ার্কিং, চাকরির সুযোগ তৈরি পেশাদার আর্টিকেল, কোম্পানির আপডেট, চাকরির বিজ্ঞাপন

সোশ্যাল মিডিয়াতে গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি এবং বজায় রাখা

সোশ্যাল মিডিয়াতে গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা এবং তা বজায় রাখা খুবই জরুরি। গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে, তাদের মধ্যে আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি একটি বিশ্বাস তৈরি হয়।

গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং তাদের সমস্যা সমাধান করা

গ্রাহকদের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দেওয়া এবং তাদের সমস্যা সমাধান করা আপনার দায়িত্ব। যদি কোনো গ্রাহক আপনার পণ্য বা পরিষেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ করে, তাহলে তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করুন। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার গ্রাহকদের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দিতে এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে।

নিয়মিত গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা

নিয়মিত গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা আপনার ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন এবং তাদের মতামত জানতে পারেন। গ্রাহকদের মতামত অনুযায়ী আপনার পণ্য বা পরিষেবার মান উন্নয়ন করলে, আপনার ব্যবসার উন্নতি হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিযোগিতা এবং কিভাবে অন্যদের থেকে আলাদা থাকবেন

সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন অনেক প্রতিযোগিতা। তাই, অন্যদের থেকে আলাদা থাকার জন্য আপনাকে নতুন কিছু করতে হবে। আপনি আপনার কন্টেন্টের মান উন্নত করতে পারেন, গ্রাহকদের জন্য নতুন অফার দিতে পারেন, অথবা অন্য কোনো উপায়ে আপনার ব্র্যান্ডকে আলাদা করে তুলতে পারেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার গ্রাহকদের জন্য নতুন এবং আকর্ষণীয় কিছু নিয়ে আসতে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এর ফলাফল বিশ্লেষণ এবং উন্নতি

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার পর তার ফলাফল বিশ্লেষণ করা খুবই জরুরি। ফলাফল বিশ্লেষণ করে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার স্ট্র্যাটেজি কতটা সফল হয়েছে এবং কোথায় উন্নতি করা দরকার।

কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করবেন

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স হলো বিভিন্ন টুলস এবং টেকনিক ব্যবহার করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রমের ফলাফল পরিমাপ করা। এই অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার পোস্টগুলো কতজন মানুষ দেখছে, কতজন লাইক করছে, এবং কতজন শেয়ার করছে। এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করতে পারেন এবং আপনার ফলাফল উন্নত করতে পারেন।

আপনার ক্যাম্পেইন কিভাবে অপটিমাইজ করবেন

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন অপটিমাইজ করার জন্য, আপনাকে নিয়মিত আপনার ফলাফলের দিকে নজর রাখতে হবে। যদি দেখেন যে কোনো পোস্ট ভালো ফল দিচ্ছে না, তাহলে সেই পোস্টের কন্টেন্ট পরিবর্তন করুন অথবা অন্য কোনো সময়ে পোস্ট করুন। আপনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারবেন যে কোন জিনিসগুলো আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করছে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এর ভবিষ্যৎ এবং নতুন ট্রেন্ডস

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। নতুন নতুন টেকনোলজি আসার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আরও উন্নত হবে। এখন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, অগমেন্টেড রিয়ালিটি, এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো টেকনোলজিগুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এ ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই, আপনাকে সবসময় নতুন ট্রেন্ডস সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেগুলোর সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।

শেষ কথা

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এখন ব্যবসার জন্য খুব জরুরি। কাস্টমার জার্নি বুঝে, সঠিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এবং ভালো কন্টেন্ট তৈরি করে আপনি আপনার ব্যবসাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারেন। নিয়মিত গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন। তাহলেই আপনার ব্যবসা সফল হবে।

দরকারী কিছু তথ্য

১. নিয়মিত আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আপডেট করুন।

২. গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কথা বলুন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন।

৩. আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করুন।

৪. হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আপনার পোস্ট আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিন।

৫. সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনার ফলাফলের দিকে নজর রাখুন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সারসংক্ষেপ

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এ কাস্টমার জার্নির গুরুত্ব অনেক। সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন, কন্টেন্ট মার্কেটিং, গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি, এবং ফলাফলের বিশ্লেষণ – এই সবকিছুই আপনার ব্যবসাকে সফল করতে সাহায্য করে। তাই, সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে ব্যবহার করুন এবং আপনার ব্যবসাকে উন্নতির দিকে নিয়ে যান।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: কাস্টমার জার্নি ম্যাপটা আসলে কী?

উ: কাস্টমার জার্নি ম্যাপ হলো আপনার গ্রাহক আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের সাথে কীভাবে interact করে, তার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, একজন কাস্টমার আপনার পন্য বা পরিষেবা কেনার আগে থেকে শুরু করে কেনার পরে পর্যন্ত কী কী অভিজ্ঞতা লাভ করে, তার একটা চিত্র। এটা আপনাকে আপনার গ্রাহকদের চাহিদা, সমস্যা এবং অনুভূতিগুলো বুঝতে সাহায্য করে, যাতে আপনি আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আরও ভালোভাবে তৈরি করতে পারেন। আমি যখন প্রথম নিজের ব্যবসার জন্য এটা ব্যবহার করি, তখন বুঝতেই পারিনি যে কাস্টমারদের মনে ঠিক কী চলছে!

প্র: সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজিতে কাস্টমার জার্নি ম্যাপের গুরুত্ব কী?

উ: কাস্টমার জার্নি ম্যাপ আপনার সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজিকে সঠিক পথে চালাতে পারে। ধরুন, আপনি জানতে পারলেন আপনার বেশিরভাগ কাস্টমার Instagram-এ আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাহলে আপনি Instagram-এ আপনার পণ্যের সুন্দর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে পারেন। আবার, যদি দেখেন অনেকে Facebook-এ আপনার সার্ভিস নিয়ে প্রশ্ন করছে, তাহলে সেখানে দ্রুত উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। কাস্টমার জার্নি ম্যাপ আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে যে আপনার কাস্টমাররা কোথায় আছে, কী চায়, এবং তাদের জন্য সেরা কনটেন্ট কী হতে পারে। আমার মনে আছে, একবার কাস্টমার জার্নি ম্যাপ ব্যবহার করে আমি জানতে পারলাম আমার কাস্টমাররা ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে, তাই আমি regular post-এর বদলে video content-এর ওপর জোর দিলাম, আর result দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম!

প্র: কাস্টমার জার্নি ম্যাপ তৈরি করার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত?

উ: কাস্টমার জার্নি ম্যাপ তৈরি করার সময় কয়েকটা জিনিস খুব জরুরি। প্রথমত, আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে ভালো করে জানতে হবে। তাদের বয়স, লিঙ্গ, পেশা, আগ্রহ – এই সব কিছু মাথায় রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, কাস্টমার জার্নির প্রতিটি ধাপ (যেমন: সচেতনতা, বিবেচনা, সিদ্ধান্ত, ইত্যাদি) চিহ্নিত করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রতিটি ধাপে কাস্টমারের অনুভূতি, চাহিদা এবং সমস্যাগুলো লিখতে হবে। আর সবশেষে, ডেটা কালেক্ট করতে ভুলবেন না। Google Analytics, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স এবং কাস্টমার ফিডব্যাক থেকে পাওয়া ডেটা ব্যবহার করে আপনার ম্যাপকে আরও accurate করতে পারবেন। আমি যখন প্রথম ম্যাপটা বানিয়েছিলাম, তখন শুধু নিজের ধারণার ওপর নির্ভর করেছিলাম, কিন্তু পরে যখন ডেটা যোগ করলাম, তখন দেখলাম অনেক কিছুই আমার ভাবনার বাইরে ছিল!

📚 তথ্যসূত্র